SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - ডিজিটাল প্রযুক্তি - Digital Technology - ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বৈচিত্র্য | NCTB BOOK

আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে আমাদের এই অভিজ্ঞতার শেষ কাজটি হলো দলগতভাবে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন তৈরি করে তা একটি সেমিনারে উপস্থাপন করা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা যে প্রেজেন্টেশন তৈরি করব তার বিষয়বস্তু কী হবে? আজকের সেশনে আমাদেরকে শিক্ষক সেই বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। এবং সেই সাথে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাবে আমাদের আশপাশে যে ধরনের পরিবর্তন আসছে তার সাথে কীভাবে খাপ খাইয়ে নেব তাও জানব।

 

প্রথমেই এসো আমাদের মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের ব্যাপারে জেনে নিই। প্রেজেন্টেশনের জন্য আমাদেরকে শিক্ষক দলে ভাগ করে দিবেন। বা আমাদের হয়তো আগে থেকেই অন্যান্য অভিজ্ঞতায় কাজ করার সময় থেকে কয়েকটি দল তৈরি করাই আছে। তাহলে আমরা সেই দলেও কাজ করতে পারি। আমাদের প্রেজেন্টেশনের বিষয়বস্তু হবে বিশ্বব্যাপী দক্ষিণ (গ্লোবাল সাউথ)-এর দেশগুলোর মধ্যে থেকে ২টি করে দেশ এবং সেই দু'টি দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব। কোন দল কোন দুটি দেশ নিয়ে কাজ করবে তা শিক্ষক নির্ধারণ করে দিবেন।

 

বৈশ্বিক দক্ষিণ বা গ্লোবাল সাউথ

 

এদের মধ্যে রয়েছে এশিয়া, আফ্রিকা, এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ। সাধারণভাবে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে থাকা বেশিভাগ দেশ এই তালিকাভুক্ত হলেও ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে এই তালিকাটি তৈরি নয়। এই দেশগুলোর মাঝে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু মিল পাওয়া যায় বলেই এই দেশগুলোকে একটি বৃহত্তর নামের আওতায় আনা হয়েছে।

 

তাহলে আমরা আমাদের প্রেজেন্টেশনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জেনে গিয়েছি। এবার এসো কয়েকটি উদাহরণ দেখে জেনে নিই যে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাবের সাথে খাপ খাওয়াতে এসব দেশে কী কী কাজ করা হয়েছে বা হচ্ছে।

পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া তাদের প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে যাতে তাদের দেশের সর্বাধিক রপ্তানিকৃত পণ্য কফি এখন আরও দ্রুত এবং সহজে বিশ্বব্যাপী আরও বৃহৎ পরিসরে ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরতে পারে।

 

 

পূর্ব আফ্রিকার আরেকটি দেশ রুয়ান্ডা তাদের জনগণকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে এবং পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে একটি বৃহৎ ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে যার আওতায় তাদের প্রায় ৫০ লক্ষ নাগরিক ডিজিটাল সাক্ষরতা অর্জন করেছে।

 

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে প্রগতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল প্রতিনিয়ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বিগত ৮-১০ বছরে ব্রাজিলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণাকারী দলের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল কেন্দ্রের সংখ্যা।

 

 

দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া তার নাগরিকদের জন্য ইন্টারনেট খরচ কমিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সহজলভ্য করেছে।

 

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত ডিজিটাল প্রযুক্তির এই দ্রুত পরিবর্তনের সাথে তাল মিলাতে তাদের 'আধার কার্ড' (বায়োমেট্রিক আইডি কার্ড) কে উন্নত করেছে। ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বর্তমানে সকল আধার কার্ডের অধিকারী একটি করে ক্লাউড অ্যাকাউন্টের এক্সেস পাচ্ছে, যা ব্যবহার করে তারা তাদের প্রয়োজনীয় আসল ডকুমেন্ট এবং সার্টিফিকেট (যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের কাগজ, একাডেমিক মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট ইত্যাদি) সরাসরি ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনলাইনে সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করতে পারছে।

 

 

 

তাহলে আমরা কিন্তু বেশ কিছু নতুন বিষয় জানলাম, তাই না? আমাদের মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনটি তৈরির জন্য তথ্য অনুসন্ধান করতে গেলে আমরা এমন আরও অনেক উদাহরণ খুঁজে পাব। কিন্তু তাঁর আগে এখন চলো উপরের উদাহরণগুলো অনুসারে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাবে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে আমরা কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি তার একটি তালিকা তৈরি করি-

ছক ৬.৭

১।

 

২।

 

৩।

 

8।

 

৫।

 

৬।

 

৭।

 

 

আগামী সেশনের প্রস্তুতি:

সেমিনারে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের জন্য আমরা কে কোন দলে কাজ করব এবং কোন দল কোন দেশ নিয়ে কাজ করব তা এখন আমরা জানি। আমাদের কাজ হলো দেশগুলো সম্পর্কে নিচের তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে আসা। তথ্য সংগ্রহের জন্য আমরা চাইলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের, আত্মীয়স্বজনদের এবং প্রতিবেশীদের সহায়তা নিতে পারি। পাশাপাশি ইন্টারনেট, টিভি সংবাদ, বই, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করেও আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। প্রয়োজনে আমরা তথ্য সংগ্রহে শিক্ষকের সহায়তাও নিতে পারব। বাড়ির কাজ হিসেবে আমরা প্রত্যেকে যে তথ্যগুলো নিয়ে আসব সেগুলো হলো-

 

  • ১৫/২০ বছর পূর্বে দেশগুলোতে কী ধরনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতো?
  • বর্তমানে দেশগুলোতে কী ধরনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে?
  • ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশগুলোতে মানুষের খাদ্যাভ্যাস, শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে বিগত ১০ বছরে কীভাবে এবং কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে?
Content added || updated By
Promotion