নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) বোর্ড পরীক্ষা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা ১ম পত্র অধ্যয়ন করলে প্রশ্নের কাঠামো, প্রশ্নের ধরন এবং পরীক্ষার প্রবণতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। নিয়মিত মডেল টেস্ট এবং প্রশ্নব্যাংক ব্যবহার করে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও জোরদার করা যায়।
2024 সালের ময়মনসিংহ বোর্ড এর নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) বাংলা সাহিত্য MCQ প্রশ্নব্যাংক এর মাধ্যমে আপনি পাবেন অধ্যায়ভিত্তিক সাজানো, ব্যাখ্যাসহ সঠিক সমাধান, যা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এই প্রশ্নব্যাংক থেকে আপনি পাবেন লাইভ টেস্ট, PDF ডাউনলোড সুবিধা এবং ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ একটি সম্পূর্ণ প্রস্তুতি প্ল্যাটফর্ম।
বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক থেকে যা পাবেন:
এটি কেবল প্রশ্নের সমাধান নয়, বরং ময়মনসিংহ বোর্ড বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সম্পূর্ণ গাইডলাইন — যা 2024 সালের নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) বাংলা সাহিত্য পরীক্ষায় আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
আপনি কি 2024 সালের ময়মনসিংহ বোর্ড এর নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) বাংলা সাহিত্য MCQ প্রশ্নের নির্ভুল এবং আপডেটেড সমাধান খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন! Satt Academy দিচ্ছে পুরোপুরি রিভিউকৃত, অধ্যায়ভিত্তিক সাজানো, এবং সর্বশেষ সিলেবাস অনুযায়ী MCQ প্রশ্নব্যাংক।
বাংলা ১ম পত্র MCQ, নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) শ্রেণি বাংলা ১ম পত্র প্রশ্ন, ময়মনসিংহ বোর্ড বাংলা সাহিত্য 2024, বাংলা সাহিত্য MCQ ময়মনসিংহ বোর্ড 2024, Satt Academy বাংলা সাহিত্য Question Bank, Chapter-wise বাংলা সাহিত্য Questions, ময়মনসিংহ বোর্ড MCQ সমাধান, বাংলা সাহিত্য MCQ PDF Download, বাংলা সাহিত্য Live Test ময়মনসিংহ বোর্ড
বিধবা আম্বিয়া বেগম অবসরের সমস্ত টাকা ব্যয় করে দুই পুত্র ও এক কন্যাকে লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকে। তাদের সুখের কথা চিন্তা করে তিনি খুব আনন্দ পান, যদিও তাঁর দেখাশোনার মত কেউ নেই। পুত্রদের সংবাদ দিলেও চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারে না। এক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন আম্বিয়া বেগম। অবস্থা খারাপ হলে প্রতিবেশী দিনমজুর জবেদ আলির ছেলে আশিক তাকে দেখতে আসে। সবকথা শুনে আশিক তাঁর অনেক প্রশংসা করে। সে বলে "আপনার মতো মা ঘরে ঘরে দরকার।"
পেশা তার দর্জিগিরি কিন্তু নেশা তার বইপড়া। বাল্যকালে পিতা মারা যাওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির পর আর পড়তে পারেনি কাশেম মিয়া। তবে বইপড়ার নেশা থেকেই বাড়ির পাশে প্রায় দুই হাজার বই নিয়ে গড়ে তুলেছে 'স্বপ্ন গড়ি লাইব্রেরি'। গ্রামের ছোট- বড় সবাই সেখানে জ্ঞানচর্চা করে। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বইও পড়ে। কিন্তু ব্যবসায়ী মামুন মোল্যা তার সন্তানকে ঐ লাইব্রেরিতে যেতে নিষেধ করে বলেন, "তোমার এতো জ্ঞান অর্জনের দরকার নেই, বাসায় প্রাইভেট শিক্ষক রেখেছি। তাঁর কাছে পড়ে (এ+) অর্জন করো।"
লিজা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তাদের বাড়িতে তার সমবয়সী লতিফা নামে একটি কাজের মেয়ে থাকে। অভাবের তাড়নায় সে এ বাড়িতে কাজে এসেছে। লিজা তার সাথে খেলাধুলা ও গল্প করতে চায়। কিন্তু লিজার মা ওদের দুজনের একসাথে দেখলেই বকা দেয়। লিজা ওর মায়ের অনুপস্থিতিতে লতিফার সাথে কখনো কখনো পুতুল খেলে, টিভি দেখে। কিন্তু লতিফা লিজার সাথে মিশতে ভয় পায় কারণ লিজার মা যদি দেখে ফেলে।
তপুর বয়স ছয় বছর। সে রাত হলেও ঘুমাতে চায় না। তপুর মা সুরাইয়া বেগম চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শাশুড়িকে বলেন, "মা আপনি তপুকে একটু ঘুম পাড়ান, আমি জি-বাংলার সিরিয়ালটা দেখে আসি।" তপুর দাদি বলেন, "আস দাদুভাই, তোমাকে ডালিম কুমারের গল্প বলি।" কিন্তু তপু বলে, "না, আমি ডরিমন কার্টুন দেখবো।" দাদি ভাবেন আমাদের অতীত জীবনের গল্পগুলো যদি বাঁচিয়ে রাখা যেত তাহলে কতইনা ভালো হতো। তিনি আফসোস করে বলেন, "কী যুগ আইলোরে, জি-বাংলা আর ডরিমন সব খাইলো রে!"
লুনা লেখাপড়া করার জন্য আমেরিকায় যায়। সাত বছর পর দেশে ফিরে তার দেশের মানুষ আর মানুষের ভাষা তেমন একটা ভালো লাগে না। লুনা বলে বাংলা দিয়ে পৃথিবীর কোথাও কিছু করা যায় না। কথায় কথায় ইংরেজি বলে আর বাংলা ভাষার প্রতি অবজ্ঞার ভাব প্রকাশ করে। তার আচরণে স্কুল শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তিনি বলেন, "এ ভাষার জন্যই মানুষ জীবন দিয়েছেন। এ ভাষায় কবি গেয়ে উঠেন "মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।"