SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

On This Page
অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা - আকাইদ | NCTB BOOK

জান্নাত শব্দের অর্থ বাগান, উদ্যান, আবৃত স্থান। ফারসি ভাষায় একে বলা হয় বেহেশত। বাংলায় একে বলা হয় স্বর্গ। ইসলামি পরিভাষায় আখিরাতে ইমানদার ও নেককার বান্দাদের জন্য যে চিরশান্তির আবাসস্থল তৈরি করে রাখা হয়েছে তাকে জান্নাত বলা হয়।জান্নাত হলো চিরশান্তির স্থান। সেখানে সবকিছুই সুন্দর ও আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা সুসজ্জিত । জান্নাতের ঘর-বাড়ি, আসন, আসবাবপত্রসহ সবকিছু স্বর্ণ-রৌপ্য, মণি-মুক্তা দ্বারা নির্মিত। জান্নাতে থাকবে রেশমের গালিচা, দুধ ও মধুর নহর। মিষ্টি পানির স্রোতধারা। বস্তুত আনন্দ উপভোগের সব রকমের জিনিসই জান্নাতে বিদ্যমান থাকবে । আল্লাহ তায়ালা বলেন-

অর্থ : “সেখানে (জান্নাতে) তোমাদের মন যা চাইবে তা-ই তোমাদের জন্য রয়েছে আর তোমরা যা দাবি করবে তাও তোমাদের দেওয়া হবে।” (সূরা হা-মীম আস্ সাজদাহ, আয়াত ৩১)

জান্নাতের বিবরণ দিয়ে রাসুল (স.) বলেন- “আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, 'আমি আমার পুণ্যবান বান্দাদের জন্য জান্নাতে এমন সব বস্তু তৈরি করে রেখেছি যা কোনো চোখ কোনোদিন দেখে নি, কোনো কান কোনোদিন শোনে নি, আর মানুষের অন্তরও যা কোনোদিন কল্পনা করতে পারে নি ।” (মিশকাত)

জান্নাতের নাম
 

জান্নাত মোট আটটি। এগুলো হলো-

১. জান্নাতুল ফিরদাউস

২. জান্নাতুল মাওয়া

৩. দারুল মাকাম

৪. দারুল কারার

৫. দারুন নাইম

৬. দারুল খুলদ

৭. দারুস সালাম

৮. জান্নাতু আদন।

এ আটটি জান্নাতের মধ্যে জান্নাতুল ফিরদাউস হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।

জান্নাত লাভের আমল ও উপায়
জান্নাত হলো মুমিনদের ও পুণ্যবানদের বাসস্থান । আল্লাহ তায়ালা বলেন-

অর্থ : “(হে নবি!) যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিন যে, তাদের জন্যই রয়েছে জান্নাত। যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৫)

সুতরাং জান্নাত লাভের জন্য দুনিয়াতে সর্বপ্রথম ইমান আনতে হবে। আকাইদের সব বিষয়ের উপর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে । অতঃপর নেক কাজ করতে হবে। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায সুন্দরভাবে আদায় করতে হবে।

মহানবি (সা.) বলেছেন-

অর্থ : সালাত হলো জান্নাতের চাবি।

নামাযের পাশাপাশি রমযানের রোযা পালন, যাকাত আদায় ও হজ করতে হবে। তাছাড়া অন্যান্য সৎকাজ, উত্তম চরিত্র ও নৈতিকতার অনুশীলন করতে হবে । জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুলের আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে । সকল প্রকার অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে । আল্লাহ তায়ালা বলেন-

অর্থ : “আর যে ব্যক্তি তার রবের সামনে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করবে এবং নিজকে কুপ্রবৃত্তি থেকে বিরত রাখবে, নিঃসন্দেহে জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল।” (সূরা আন-নাযিআত, আয়াত ৪০-৪১)

কাজ : শিক্ষার্থীরা-
ক. জান্নাতের নামগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে শিক্ষককে দেখাবে ।
খ. জান্নাত লাভের উপায় সম্পর্কে ৫টি বাক্য খাতায় লিখে শিক্ষককে দেখাবে ।
Content added || updated By

Promotion