SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র | NCTB BOOK

১. সীমিত দায়ঃ যৌথ মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের আঙ্কিক মূল্য (Face value) অথবা প্রতিশ্রুতি দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে । ফলে জনগণ বিনাদ্বিধায় ও সংগঠনে বিনিয়োগ করে ।

২. অধিক পুঁজি: এ সংস্থা জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রি করে পর্যাপ্ত পুঁজি সংগ্রহ করতে পারে। এমনকি প্রয়োজনে ঋণপত্র বিক্রির মাধ্যমেও মূলধন সংগ্রহ করা যায়, যা অন্যান্য সংগঠনগুলো পারে না।

৩. চিরন্তন অস্তিত্বঃ আইনের সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা একে চিরন্তন অস্তিত্ব প্রদান করেছে। ফলে এর স্থায়িত্ব অধিক। এমনকি ঘটনাক্রমে কোম্পানির সকল সদদ্যের মৃত্যু হলেও সংস্থা বিলুপ্ত হয় না। অর্থাৎ এটা নির্দিষ্ট আইনের দ্বারা গঠিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে এর বিশেষ আইনগত সার্বজনীন সত্তা আছে। যা ব্যবসায়ের উন্নতির সহায়ক ।

৪. গণতান্ত্রিকতা: এটা আইনের আওতায় সার্বিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। 

৫. জনসাধারণের আস্থা: নির্দিষ্ট আইনের দ্বারা এ সংস্থা গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় বলে এটা জনগণের অধিক আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়। ফলে বিনিয়োগকারীগণ নিশ্চিন্তে এ সংগঠনে বিনিয়োগ করে এবং কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার কারণে কোম্পানি অধিক ঋণের সুবিধা ভোগ করে।

৬. অধিক উৎপাদনঃ বৃহদায়তনের কারণে এ সংগঠন ব্যাপক উৎপাদন করতে পারে এবং জনগণ কমমূল্যে পণ্যক্রয়ের সুযোগ পায় ।

৭. কর্মসংস্থানের সুযোগঃ অন্য যে কোনো ব্যবসায়ের তুলনায় বৃহদায়তনের কোম্পানিতে জনগণের কর্মের সুযোগ-সুবিধা বেশি। ফলে জনগণের অধিক কর্মসংস্থান করে যৌথ মূলধনী কোম্পানি দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Content added By