নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) বোর্ড পরীক্ষা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের ইতিহাস অধ্যয়ন করলে প্রশ্নের কাঠামো, প্রশ্নের ধরন এবং পরীক্ষার প্রবণতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। নিয়মিত মডেল টেস্ট এবং প্রশ্নব্যাংক ব্যবহার করে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও জোরদার করা যায়।
2025 সালের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) ইসলামের ইতিহাস MCQ প্রশ্নব্যাংক এর মাধ্যমে আপনি পাবেন অধ্যায়ভিত্তিক সাজানো, ব্যাখ্যাসহ সঠিক সমাধান, যা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এই প্রশ্নব্যাংক থেকে আপনি পাবেন লাইভ টেস্ট, PDF ডাউনলোড সুবিধা এবং ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ একটি সম্পূর্ণ প্রস্তুতি প্ল্যাটফর্ম।
বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক থেকে যা পাবেন:
এটি কেবল প্রশ্নের সমাধান নয়, বরং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সম্পূর্ণ গাইডলাইন — যা 2025 সালের নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষায় আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
আপনি কি 2025 সালের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) ইসলামের ইতিহাস MCQ প্রশ্নের নির্ভুল এবং আপডেটেড সমাধান খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন! Satt Academy দিচ্ছে পুরোপুরি রিভিউকৃত, অধ্যায়ভিত্তিক সাজানো, এবং সর্বশেষ সিলেবাস অনুযায়ী MCQ প্রশ্নব্যাংক।
ইসলামের ইতিহাস MCQ, নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) শ্রেণি ইসলামের ইতিহাস প্রশ্ন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ইসলামের ইতিহাস 2025, ইসলামের ইতিহাস MCQ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড 2025, Satt Academy ইসলামের ইতিহাস Question Bank, Chapter-wise ইসলামের ইতিহাস Questions, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড MCQ সমাধান, ইসলামের ইতিহাস MCQ PDF Download, ইসলামের ইতিহাস Live Test মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা যেমন- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল মঙ্গাপীড়িত হিসেবে খ্যাত। এসব অঞ্চল কম বৃষ্টিপাতের ফলে রবি শস্য ও ধান চাষের জন্য প্রায় অনুপোযোগী। শুষ্ক মৌসুমে এখানে সুপেয় পানির খুবই অভাব পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া এতদ অঞ্চলে অনাবৃষ্টির ফলে কৃষকরা কৃষি কাজ করতে পারছেনা। তবে করতোয়া নদী তীরবর্তী কিছু অঞ্চল পানি বিধৌত হওয়ায় এলাকাটি কৃষি কাজের জন্য উপযোগী এবং এ অঞ্চলে প্রচুর ফসলও ফলে। তাছাড়া বসবাসের জন্য এ অঞ্চলটি খুবই চমৎকার।
দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন কুসংস্কারে নিমজ্জিত ছিল। তারা বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করত। তাদের মধ্যে মন্ত্রতন্ত্র, যাদু-টোনা ইত্যাদি প্রচলিত ছিল। পাহাড়ে চলা ফেরার সময় তাদের মাঝে বিভিন্ন ভয়ভীতি কাজ করতো। ফলে তারা বিভিন্ন শক্তিকে দেবতা মনে করে পূজা করতো। অপর দিকে এদের মাঝে এক শ্রেণির পাহাড়ী লোক ছিলো যারা কখনো এ সমস্ত পূজা-পার্বণ, যাদু-টোনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তারা সৎভাবে জীবন যাপন করতেন এবং একজন সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিলেন।
দৃশ্যকল্প-১: সাতবাড়িয়া গ্রামে কোনো মাদ্রাসা না থাকায় গ্রামের সকলে মিলে একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। কিন্তু মাদ্রাসার নামকরণ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব-কলহ শুরু হয়। এমনকি ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। এ অবস্থায় স্থানীয় মসজিদের খতিব সাহেব সেখানে গিয়ে মাদ্রাসার নামকরণের প্রস্তাব দিলে সকলেই তা মেনে নেন। ফলে বড় ধরনের সংঘর্ষ থেকে এলাকাবাসী বেঁচে যায়।
দৃশ্যকল্প-২: লঞ্চ দুর্ঘটনায় রিয়াজ তার পিতা-মাতা হারিয়ে অত্যন্ত শোকাহত হয়ে পড়েন। এদিকে তার চাচা, ভাতিজার মানসিক প্রশান্তির জন্য তাকে নিয়ে অন্য একটি দেশে যান। রিয়াজের বিদেশ ভ্রমণের ফলে সে পৃথিবীর বৈচিত্র্য ও বাস্তব জীবনে অনেক ধারণা লাভ করে। যা পরবর্তীতে তার জীবনকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করে তোলে।
মঈন সাহেব নিজ এলাকার অশিক্ষিত ও নিরক্ষর লোকদের শিক্ষাদানের জন্য নিয়মিত শিক্ষাদান কার্যক্রম করতে থাকলে ঐ এলাকার বিত্তশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ তাঁকে বিভিন্নভাবে হয়রানি, লাঞ্চিত ও নির্যাতন করতে থাকে এবং তাঁর শিক্ষাদানে বাঁধাগ্রস্ত করে। তাই তিনি ভগ্ন হৃদয়ে তাঁর এক শিষ্যকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী আরেকটি এলাকায় গিয়ে অনুরূপ কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু সেখানের মানুষও তাঁর এই কাজকে সমর্থন না করে বরং তাঁকে নির্মমভাবে প্রহার ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
জনাব মুহসিন উদ্দিন নিজ এলাকায় একটি জনকল্যাণ সংঘ প্রতিষ্ঠা করে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসীর মধ্যে বেশিরভাগ লোক বিরোধীতা করে। ফলে তিনি অনুসারীদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলায় চলে যান। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় সংঘের কাজ এগিয়ে নিতে থাকেন। একদিন কিছু অনুসারী নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কাছাকাছি পৌঁছলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে অনেক আলাপ আলোচনা পর অবশেষে একটি সমঝোতা হয়। তৎক্ষণিকভাবে সমঝোতার ফল জনাব মুহসিন উদ্দিনের বিপক্ষে গেলেও পরবর্তীতে দেখা যায় এর ফলে বিরোধীপক্ষ সর্বদিক থেকে পরাজিত হয়।
ঘটনা-১: জনাব নাঈম দশ বছর পূর্বে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তিনি স্ত্রীর সুযোগ-সুবিধার প্রতি নজর রাখতেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও স্বামী স্ত্রী উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো না। স্বামীর আচরণে তার স্ত্রী সন্তুষ্ট ছিল। নাঈম দম্পতির সুন্দর আচরণ অনেকেই আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে।
ঘটনা-২: এখলাছপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমজাদ সাহেব অভাব অনটনের সময় গরিব মানুষকে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করেন। ঋণ দেয়ার সময় গ্রহীতাদেরকে তিনি বলতেন-আমি তোমাদেরকে যে টাকা দিচ্ছি ফেরত দেয়ার সময় ঠিক তাই আমাকে দিবে। এর অতিরিক্ত এক টাকাও কেউ আমাকে দিবে না।
আহমদ সাহেব বিলসলুয়া গ্রামের মেম্বর। এ গ্রামে বিশ্বাস, মন্ডলসহ বহু গোষ্ঠীর লোকের বসবাস। তিনি সব গোষ্ঠীর লোকের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু মেম্বরের নানাবিধ সফলতায় বিশ্বাসগোষ্ঠীর লোকেরা বিভিন্নভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তাঁকে মেম্বর পদ থেকে পদচ্যুত করার জন্য অন্য আরেকজনকে সমর্থন দেয়। এমনকি মেম্বর সাহেবকে তারা হত্যার চেষ্টাও করেন। ফলে তিনি বিশ্বাসগোষ্ঠীর পরিবারগুলোকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করেন। অন্যদিকে মন্ডলগোষ্ঠীর লোকেরা তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে। এ প্রেক্ষিতে তাদেরকে তিনি নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সাহায্যদানের প্রতিশ্রুতি দেন।